প্রদীপ কুমার রায়:
ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, নৈতিক অবক্ষয়ের কারনে আজ জুলাই অভ্যুত্থানের রক্ত বিফলের পথে। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৪ বছরেও জনতার ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটেনি। সাম্য প্রতিষ্ঠা হয়নি। মানবিক মর্যাদা শুন্যের কোটায়। সমাজের কোনো স্তরেই ন্যায়বিচার নেই। দীর্ঘ ৫৪ বছরে শাসকগোষ্ঠী জনতার সাধীনতকে গলা টিপে হত্যা করেছে। শাসকরা ক্ষমতায় থেকে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনলেও কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ছাত্ররা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে স্বাধীনতা আনলেও শিক্ষাঙ্গনগুলো আজও দলীয় ক্যাডারদের দখলমুক্ত হয়নি। বৈষম্য আজ সমাজের সর্বস্তরে বিস্তারলাভ করেছে। আমরা ২৪-এর নতুন বাংলায় আর কোনো বৈষম্য দেখতে চাই না। ফ্যাসিজমের কবর রচিত হোক এটাই নতুন বাংলার অঙ্গীকার।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে রায়পুর বাসটার্মিনালে আয়োজিত রায়পুর উপজেলার তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম আরও বলেন, ফিলিস্থিন ও গাজায় বছরের পর বছর ধরে যে অমানবিক নির্মমতা চলছে তা মানবতার জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায়। বিগত কয়েকদিনে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে যার বেশিরভাগই শিশু ও নারী। এই দৃশ্য সহ্য করা যায় না। অবিলম্বে এ নারকীয় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ওআইসি ও আরবলীগসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
উপজেলা সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে থানা সেক্রেটারী মাওলানা হেলাল উদ্দিনের সঞ্চলনায় আয়োজিত উক্ত সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন, লক্ষীপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দীন, জেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মোখলেছুর রহমান, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মোঃ ইউনুস খান শ্রমিক সহ-সভাপতি মাওলানা আবুল বাশার থানা জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা কাওসার মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাঈনউদ্দিন চিশতি সহ থানা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।