ইকবাল হোসেন :
ঈদুল ফিতরের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাধারণ মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। তবে ঈদের পরপরই সেই চিত্র পাল্টে যেতে শুরু করেছে। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় হঠাৎ করেই সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে, যা ভোক্তাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছে।
রামগঞ্জ আধুনিক মাছ ও কাঁচাবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনের সবজির দাম প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে বাজারের এক খুচরা বিক্রেতা নাসির বলেন, “আমরা আড়ত থেকে পণ্য কিনে এনে সামান্য লাভে বিক্রি করি। প্রতি কেজিতে ৫-১০ টাকার বেশি লাভ করি না।” তবে দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে স্থানীয় আড়ৎ শাহজালাল বাণিজ্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. বিল্লাল হোসেন জানান, “কুমিল্লার নিমসার থেকে সবজি এনে পাইকারিতেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় এ প্রভাব পড়েছে বাজারে।”
অন্যদিকে সাধারণ ভোক্তারা মনে করছেন, উৎপাদন ঘাটতির চেয়ে বেশি দায়ী অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। কৃষক থেকে ভোক্তার হাতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে পণ্যের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন ঘটছে। ভোক্তাদের দাবি, বাজার ব্যবস্থাপনায় সঠিক তদারকি থাকলে সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া সম্ভব।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈদ মোহাম্মদ রবিন শীষ বলেন, “নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারা বাজার অস্থির করতে অপকর্মে লিপ্ত থাকবে, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।”
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বাজার ব্যবস্থাপনায় কঠোর নজরদারি এবং দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে।