লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তর্কিত জমিতে জোর পূর্বক ঘর নির্মাণে বাঁধা দিলে এক নারীকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে অভিযুক্তরা।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,শুক্রবার সকাল আটটায় উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ইকরা হাফেজিয়া মাদরাসা সংলগ্ন চর পাগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।এ সময় গৃহবধূ শারমিন (২৬) কে প্রতিপক্ষ বেধড়ক মারধর করে আহত করে।আহত শারমিন কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।চর পাগলা গ্রামের তর্কিত জমিতে একই এলাকার আনিস ও তার ভাই বাহার লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করতে গেলে আদালতের দারস্থ হওয়া ফরিয়াদী শারমিন’ মামলার চুড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত ঘর নির্মান না করার জন্য বললে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শারমিনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়।দখলবাজ আনিস জুলুমবাজ ভূমিখেকো বলে স্থানীয়দের অভিমত।
ভুক্তভোগী শারমিন জানান,আমাদের এই জমি নিয়ে আদালতে দুটি মামলা চলমান আছে।এবং এই জমিনের উপর আদালতের ১৪৪ ধারার নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। অভিযুক্ত আনিসরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করাকালে আমি বাঁধা দিলে আমাকে তারা এলোপাতাড়ি মারধর করে মাথা পাটিয়ে দেয়।
স্থানীয় মোহাম্মদ ইউছুফ জানায়, এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা আছে বলে জেনেছি আজ আনিসরা ঘর নির্মাণের সময় শারমিন বাধা দিলে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। আমি দু’পক্ষকেই থামানোর চেষ্টা করি।
শারমিনের মা নাজমা (৪৫)জানায়, ‘আমার স্বামী মারা যায়। আমার মেয়ে তার বাবার ওয়ারিশ সুত্রে মালিক।মেয়ের ‘হক’ বা উত্তরাধিকারী সম্পত্তি তার চাচারা বুঝিয়ে না দিয়ে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করলে মেয়ে (শারমিন) আদালতের আশ্রয় নেয়। আদালত ১৪৪ ধারা দিয়ে সকল কাজে নিষেধাজ্ঞা দেয়।কিন্তু আনিস,বাহার আদালতের আদেশ অমান্য করে জমির ঘর নির্মাণ করে।সেখানে শারমিন বাঁধা দিলে তাকে সবাই এলোপাতাড়ি মেরে মাথা পাঠিয়ে দেয়। আমি তাকে নিয়ে কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকি।
অভিযুক্ত মোহাম্মদ আনিস বলেন,এই অভিযোগ মিথ্যা, এই জমি আমার। আমি আমার জমিতে ঘর নির্মাণ করছি।তবে অভিযুক্ত বাহার বলেন,আমাদের মধ্যে ঘর নির্মাণকালে হালকা হাতাহাতি হয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে জানতে চাইলে সে কৌশলে এড়িয়ে যায়।
কমলনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন,বিষয়টি জেনেছি তবে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসে নাই, আসলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।