• শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
Headline

নিষেধাজ্ঞার পর মেঘনায় মাছ ধরা শুরু কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় হতাশ জেলেরা

Reporter Name / ৬৭ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞার ২ মাস পার হওয়ারপর মধ্যরাত থেকে লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় জেলেরা জাল-নৌকা নিয়ে মেঘনায় মাছ শিকারে নেমে পড়েন। সারারাত নদীতে জাল ফেলেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পায়নি তারা। সকাল থেকে ঘাটগুলোতে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে জেলেদের। কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলেরা।

সামান্য কিছু ইলিশ মাছ পেলেও দাম আকাশ ছোঁয়া। এক কেজি ওজনের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫ হাজার টাকার থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। এর নিচের ইলিশ হালি প্রতি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ৫শ গ্রামের নিচের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, এই জেলায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে ৪৩ হাজার জেলে নিবন্ধিত রয়েছে। এসব জেলে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস নদীতে সকল ধরনের জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এসময় ৩ শতাধিক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অর্ধশতাধিক জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়। ১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। 

নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় ৩০ এপ্রিল মধ্য রাত। এরপর থেকে মেঘনায় মাছ শিকারে নেমে পড়েন জেলেরা। বর্তমানে ৩০টি মাছঘাটে ব্যস্ত সময় পার করলেও মাছ না পাওয়ায় জেলে ও আড়ৎদারদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।

জেলেরা জানায়, দীর্ঘ দুই মাস নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে যাননি তাঁরা। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর আশা নিয়ে সারারাত নদীতে জাল ফেলেও তেমন মাছ পাওয়া যায়নি। সামান্য মাছ পেলেও ইঞ্জিনচালিত তেলের খরচও হয়নি। ফলে হতাশা বাড়ছে জেলে পল্লিতে। অথচ এসময়ে প্রচুর মাছ পাওয়ার কথা। কিন্তু নদীতে তেমন মাছ নেই বলে জানিয়েছেন জেলেরা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেনে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, নদীতে ডুবোচর জেগে উঠা ও বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে সাগর থেকে মেঘনার মোহনায় ইলিশ আসতে বাধার সৃষ্টি হওয়ার কারণে মাছ কম। এরই মধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। নদীতে পানিও বাড়ছে। সামনে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ার আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া দুই মাসের অভিযান সফল হয়েছে। গতবারের চেয়ে মাছের উৎপাদন বাড়ার আশা করছে মৎস্য বিভাগ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd