তারিখ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫
প্রতি,
সম্পাদক
দৈনিক দেশের কন্ঠ
বিষয়: মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদের প্রতিবাদ
জনাব, গত ২৮ মার্চ ২০২৫ ইং, শুক্রবার, দৈনিক দেশের কন্ঠ পত্রিকায় “রায়পুরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যেখানে আমাকে – প্রীতম মজুমদার পলাশ – উদ্দেশ্যমূলকভাবে জড়িয়ে একতরফা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনটি মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আমার ব্যক্তিগত ও পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। প্রথমত, প্রতিবেদনটিতে যেভাবে ঘটনাটি উপস্থাপন করা হয়েছে, তা বাস্তবতার সম্পূর্ণ বিপরীত। আমি কোনোভাবেই ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে হয়রানি করি নাই, বরং আমি নিজেই শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছি এবং গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলাম। এই ঘটনায় আমি নিজে বাদী হয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। দ্বিতীয়ত, প্রতিবেদনে সাক্ষ্যদাতাদের যে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা পক্ষপাতদুষ্ট এবং ঘটনার সত্যিকারের চিত্রকে আড়াল করার উদ্দেশ্যে সাজানো। উল্লেখ্য, মামলাটি এখনো তদন্তাধীন, এবং এর আগেই সংবাদ মাধ্যমে একতরফাভাবে আমাকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা ন্যায্যতা ও সাংবাদিকতার নীতিমালার পরিপন্থী।
আমি বিশ্বাস করি, একটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব হলো সত্য, নিরপেক্ষ ও যাচাই-বাছাই করা তথ্য প্রকাশ করা – কাউকে সামাজিকভাবে হেয় করা নয়। এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ আমার পেশাগত জীবনে প্রভাব ফেলছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও মানহানিকর।
অতএব, আমি দৈনিক দেশের কন্ঠ পত্রিকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি— ১. এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের জন্য একটি ব্যাখ্যাসহকারে প্রতিবিধানমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। ২. ভবিষ্যতে এ ধরনের একতরফা ও যাচাইবিহীন সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য সংবাদ মাধ্যমকে আরও সতর্ক হতে হবে। ৩. আমার আইনগত অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পত্রিকাটিকে দায়মুক্তিপূর্ণ বক্তব্য প্রকাশ করতে হবে।
অন্যথায়, আমি আমার সম্মান রক্ষায় প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।
নিবেদক,
প্রীতম মজুমদার পলাশ
গ্রাম: গাইয়ার চর, ৭নং ওয়ার্ড,
উপজেলা: রায়পুর, জেলা: লক্ষ্মীপুর।
মোবাইল: 01736513159