• শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
Headline
লক্ষ্মীপুরে ৪ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় আ. লীগের ১৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার সড়কেই শুকাতে দিল সয়াবিন, মোটরসাইকেল পিছলে প্রাণ গেলো কৃষি কর্মকর্তার রামগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক কমিটি গঠন মুকুল সভাপতি,জাকির সম্পাদক, জাবেদ সাংগঠনিক সম্পাদক লক্ষ্মীপুরের গৃহবধূর শরীরে পেট্টোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে নিজের শরীর জ্বলছে দেয় পাষণ্ড স্বামী ৩নং দালাল বাজার ইউনিয়ন বিএনপির তূণমূলের নেতৃত্ব নির্বাচনের লক্ষ্যে মনোনয়ন ফরম বিতরণ লক্ষ্মীপুরে বিআরটিএ বাড়তি টাকা আদায়ের সত্যতা পেয়েছে দুদক পরিচয় মেলেনি সেই নবজাতকের, বেড়ে উঠবে শিশু নিবাসে রামগঞ্জে মোরশেদ ব্রিকসের মাটি দিয়ে ব্রিজের মুখ ভরাট, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সয়াবিন লুট ঠেকাতে রায়পুরে এএসপির নেতৃত্বে সচেতনতামূলক মহড়া রায়পুরে বই মেলায় উপচে পড়া ভিড়, পাঠককুলে বইছে হৃদয়ের জয়গান,

রায়পুরে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ফের উত্তেজনা: তিন বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, নারীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক

Reporter Name / ৬১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫

প্রদীপ কুমার রায়:

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ফের নতুন করে সহিংসতার বিস্ফোরণ ঘটেছে। গতকাল (৭ এপ্রিল) চরবংশীর খাসেরহাট বাজার এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার পরদিন আজ (৮ এপ্রিল) সকালে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালিয়ে তিনটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ১০ বাড়ীতে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ২ নম্বর চরবংশী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা মেহেদী কবিরাজ, রুহুল আমিন খাঁ ও আরিফ সরদারের বাড়িতে একযোগে হামলা চালায় কৃষক দলের সদ্য সাবেক সদস্য সচিব শামীম গাজীর অনুসারীরা। এ সময় তারা গাজী বাড়িসহ তিনটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে এবং ১০টি ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। এতে এলাকায় চরম উত্তেজনা ও নারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার সংঘর্ষে নিহত ফ্রান্সফেরত প্রবাসী সাইজ উদ্দিন দেওয়ান ছিলেন শামীম গাজীর পক্ষের সমর্থক। তার মৃত্যুর জেরে আজকের এ প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অনেক পরিবার এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, “খাসেরহাট এলাকায় সহিংসতা থামছে না। আজকের অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি, তবে তদন্ত চলছে এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে।”

কৃষকদল নেতা শামীম গাজী বলেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী দল এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষন করে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। রাজনৈতিক কারনে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

মেহেদী কবিরাজ ঘটনার পর থেকে গা-ঢাকা দেয়ার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, বিএনপির স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিস্তার, মাছঘাট ও চরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ সহিংসতার সূচনা হয়। দলীয় কমিটি বিলুপ্ত হলেও মাঠপর্যায়ে বিরোধ ও ক্ষমতা নিয়ে টানাপোড়েন চলমান থাকায় সংঘর্ষ থামছে না।

এদিকে, খাসেরহাটের এই ধারাবাহিক সহিংসতায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, “রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বলি আমরা হতে চাই না। নিরাপত্তা চাই, শান্তি চাই।”

এখন পুরো এলাকা যেন এক ভয়াল আতঙ্কের নাম। রাজনৈতিক বিরোধে এই সহিংসতা রোধে প্রশাসনের জোরালো পদক্ষেপই এখন সময়ের দাবি।

Facebook Comments Box


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd