• বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
Headline
কমলনগরে গোয়ালঘরে দুর্বৃত্তের আগুন, কৃষকের ৪ গরু ভস্মীভূত কন্যাসন্তান হওয়ায় মিষ্টির প্যাকেটে ইটের গুঁড়া দিলেন জামাই মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে আবারও ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতায় আসবে — গাজী আতাউর রহমান শোক সংবাদ রামগঞ্জে জামায়াতের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থীর সার্বিক সহযোগিতায় ৪ সহস্রাধিক পরিবারের মাঝে কোরবানির গোশত বিতরন রামগঞ্জ প্যারেলে মুক্তি পেয়ে বড় ভাইয়ের জানাজায় আ’মীলীগ নেতা রামগঞ্জে শীর্ষ মাদক ব্যাবসায়ি কালু আটক রামগঞ্জে সাংবাদিকদের সম্মানে জামায়াতে ইসলামীর প্রীতিভোজ লক্ষ্মীপুরে জুলাই আন্দোলনে শহীদদের সম্মানে ১৪টি গরু কুরবানি রামগঞ্জে হসপিটালে ঢুকে হামলার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক নাঈম ও সাংবাদিকসহ আহত ১০,গ্রেফতার ৩

রায়পুরে সড়কে গাছ, যান চলাচলে ভোগান্তি

Reporter Name / ১৩৮ Time View
Update : শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

প্রদীপ কুমার রায়:

দেশজুড়ে নিম্নচাপের প্রভাবে রায়পুরে ঝড়ো হাওয়া ও টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে উপড়ে পড়া গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটির কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। পাশাপাশি জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। রায়পুর-লক্ষ্মীপুর, রায়পুর-রামগঞ্জ, রায়পুর-হায়দরগঞ্জ ও রায়পুর-মীরগঞ্জসহ পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে আছে। এতে বুধবার রাত থেকে এসব সড়কে যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অফিসগামী মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম জানান, সকালবেলা বের হয়ে দেখি রাস্তায় বড় গাছ পড়ে আছে। কোনো রিকশা, অটোরিকশা চলতে পারছে না। হাঁটতেই হচ্ছে অনেকটা পথ । রায়পুরের চরবংশী নাইয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা মোস্তফা বেপারি বলেন, আমার হায়দার গঞ্জে যেতে দেড় ঘণ্টা সময় লেগেছে, যা সাধারণত ২০ মিনিটেই যাওয়া যায়। গাছ সরানো নিয়ে কারও যেন তাড়াহুড়ো নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, গাছ উপড়ে পড়ার ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রায়পুর ফায়ার সার্ভিস ও পৌরসভার কর্মীরা সড়ক থেকে গাছ সরাতে কাজ শুরু করেন।

রায়পুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, বুধবার রাত থেকেই ঝড়ো হাওয়ায় একাধিক গাছ ভেঙে পড়ে। আমরা ভোর থেকে কাজ করছি। কিছু সড়ক এখনও বন্ধ আছে, তবে দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে।

টানা বৃষ্টিতে উপজেলার চরবংশী, চর আবাবিল, সোনাপুর ও কেরোয়া ইউনিয়নের নিচু এলাকাগুলো হাঁটু থেকে কোমরসমান পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক বসতঘর, দোকান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পানি ঢুকে পড়েছে, ফলে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। চর আবাবিলের এক গৃহবধূ বলেন, ঘরে পানি উঠেছে, চুলা জ্বলছে না। ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। কেউ দেখতেও আসছে না।

টানা তিন দিন ধরে উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার ছিঁড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ বিভাগের কাজও থমকে আছে।

পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জহির হোসেন বলেন, তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল চার্জ নেই, পানির মটর চলে না। রাতে মশার যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারি না।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খান জনকণ্ঠকে জানান, ঝড়ের কারণে এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গাছ অপসারণ, বিদ্যুৎ সংযোগ এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd