নিজস্ব প্রতিবেদক:
সদর উপজেলার দালালবাজার এলাকার চা দোকানদার হাসানের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে আপন নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই কিশোরী বর্তমানে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ১ নভেম্বর শনিবার রাত ৯টার দিকে স্হানীয় ইউনিয়নের পরিষদ কার্যালয়ের উত্তর পাশে বাবলু মিয়ার সুপারি বাগান থেকে ছেলের ঘরের আপন নাতীনের সাথে অনৈতিক কাজ করা অবস্থায় এলাকাবাসী হাসানকে আটক করে পুলিশ সোর্পদ করে।
ভুক্তভোগী কিশোরী (১৬) সৌদি প্রবাসী জুয়েলের মেয়ে। পরিবারের দাবি, গত এক বছর ধরে নীলাকে বিভিন্ন ভাবে জোরপূর্বক ধর্ষন করে আসছে আপন দাদা চা দোকানদার হাসান। একপর্যায়ে নীলা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে হাসান বিষয়টি গোপন রাখতে চাপ দেয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বিষয়টি প্রকাশ পায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবলু মিয়া, রহিম, বিপ্লবসহ কয়েকজন সুপারি বাগান থেকে হাসান ও নীলাকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট নজরুল ইসলাম ও স্থানীয় সমাজসেবক নেতা আব্দুল কুদ্দুস জানান, ঘটনাটি অমানবিক ও নিন্দনীয়। প্রশাসনের কাছে আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।”
কিশোরীর পিতা প্রবাসী জুয়েল বলেন, আমি বিদেশে থাকি। এলাকায় শুনেছি আমার বাবা হাসান আমার মেয়েকে প্রায়ই কু-প্রস্তাব দিত। রাজি না হওয়ায় তাকে হুমকি দিত ও ভয় দেখাতো। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর কিশোরীেকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে গর্ভপাত (এবর্শন) করিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযুক্ত হাসানকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। ভুক্তভোগী মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।