নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুরে পরকীয়ার আগুনে পুড়ে ৩০ বছরের সাজানো গোছানো সংসার ভেঙ্গে তছনছ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায় সদর উপজেলা ১ নং উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড শ্যামগঞ্জের তুপান ভূঁইয়া বাড়ীর জাকির হোসেন (৫৫) তার মৃত বড় ভাই আঃ মতিনের বিধবা স্ত্রী ফাতেমার (৪০) সাথে পরকীয়া জড়িয়ে পড়ে।
এই নিয়ে স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো।
এ জের ধরে স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে শরিয়া নিয়মে তিন তালাক দেয় জাকির।
মূহুর্তে চারখার হয়ে যায় মনোয়ারার তিলেতিলে গড়া সোনার সংসার। তিন সন্তানের জননী মনোয়ারা বর্তমানে সাংসার হারিয়ে অন্যর বাড়ি বাড়ি দিন কাটছে।
দুই ছেলে আর এক কন্যার জনক জাকির ৩ মেয়ে ও ১ ছেলের মা ভাবি ফাতেমাকে বিয়ে করে বাসর ঘরে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর।
এ নিয়ে এলাকায় দফায় দফায় শালিস দরবারেও কোন কূল কিনারা হয়নি।
এদিকে স্থানীয় কয়েক জন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাংবাদিক কে জানান,জামাত নেতা জাকিরের পরকীয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এলাকার একটি মহল মরিয়া হয়ে উঠছে।জাকিরের পরকীয়া বাদা দেওয়ায় তিন সন্তানের জননী মনোয়ারা কে তালাক দেয় জাকির।

অভিযুক্ত জাকির পরকীয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,যায়গা জমির কাগজপত্র বুঝাতে গিয়ে আমার ভাবির সাথে সম্পর্ক হয়ে যায়। সে চাইলে তাকে আমি বিয়ে করবো।
সংসার হারিয়ে অসহায় মনোয়ারার অবস্থান নিয়ে আত্মীয় স্বজনের লুকোচুরির কারণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

পরকীয়ার মত জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে মনোয়ারার ৩০ বছরের সাজানো গোছানো সংসার ভেঙ্গে তছনছ করে দেওয়ার হোতা বিধবা ফাতেমা এই ঘটনার পর পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বেল্লাল হোসেন জানায়, ঘটনাটি তাকে কেউ জানায়নি। তবে এই ধরনের জঘন্য অপরাধের জন্য তিনি জাকির ও ফাতেমার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।

ঘটনার ধামাচাপা দেয়ার হোতারা এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করা হলে সাংবাদিকদের চাঁদাবাজি মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।