শনিবার (৫ মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার উত্তর মজুপুর এলাকায় সনাতনী দেবালয়ে অস্টমী স্নান ও হরিনাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ্যানি বলেন, আমরা সংস্কার চাই। সংস্কার করার জন্য সবার আগে আমাদের প্রস্তাবনা ছিল, যেটা ৩১ দফা। সেই ৩১ দফায় স্পষ্ট, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার কথা বলা হয়েছে। সেখানে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, একজন প্রধানমন্ত্রী পরপর দু’বার থাকতে পারবেন না। পার্লামেন্টে যিনি এমপি হবেন, তার কথা বলার স্বাধীনতা রয়েছে। সবার জন্য শিক্ষা, সবার জন্য স্বাস্থ্য ও গণমাধ্যম কমিশন গঠনের কথা বলা আছে। বিচারালয়, আইনের শাসনসহ সব সংস্কার করে বাংলাদেশে একটা নতুন সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্পষ্ট বলা আছে। আমরা সংস্কারের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। এ সংস্কার ৫ বছর আগে ধারাবাহিকভাবে ধরে ধীরে ধীরে আমরা চাচ্ছি, যা এখন ৩১ দফা।
এ্যানি আরও বলেন, আমরা লড়াই করেছি-সংগ্রাম করেছি ভোটের জন্য। আমার ভোট আমি দেবো। কিন্তু আমার ভোট আমি না দিয়ে ভারতের মদদে এক ব্যক্তি শাসন করবে, শাসক ফ্যাসিস্ট হবে, কতৃত্ববাদী শাসক থাকবে এটা আমরা কখনো চাইনি। এ দেশের গণতন্ত্র ছিল হুমকির মুখে। আজকে পরিবর্তিত সময়ে, নতুন অধ্যায়ে আমরা একত্রিত হয়েছি। এ অধ্যায় বলতে সবাই মিলেমিশে বাংলাদেশ। সবার আগে বাংলাদেশ। সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশ। দেশ ও দেশের মানুষকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এজন্য আমরা বলছি বিগত দিনে যারা অত্যাচার-নির্যাতন, লুটপাট, গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের বিচার আগে করতে হবে। আপনারা যত তাড়াতাড়ি বিচার করবেন হাসিনাগংদের, দোসরদের, পরিবারের- তত তাড়াতাড়ি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরন হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শংকর মজুমদার, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি ডা. রত্ন দ্বীপ পাল, সাধারণ সম্পাদক মানিক সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন চন্দ্র দেবনাথ ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল সাহা।