নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রেখে কর্মবিরতি পালন করেছে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ আরইবির ঘুষ, দুর্নীতি, হয়রানি, শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ এবং বৈষম্য মুক্ত করাসহ ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে সমিতির সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে এ কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনরত ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলনরতরা৷ দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন তারা।
কর্মবিরতি কর্মসূচিতে সমিতির অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সোহেল রানা, মিটার রিডার সলিম, লাইন টেকনিশিয়ান শরিফুল ইসলাম, এজিএম (কম) মাসুদ, এজিএম (এইচআর) মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো-
১. পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে কর্মপরিবেশ অস্থিতিশীলকারী, অত্যাচারী আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ।
২. “এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি-পবিস একীভূতকরণ” অথবা দেশের অন্যান্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় পুনর্গঠন।
৩. মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক এবং পৌষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিতকরণ।
৪. মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল।
৫. গ্রাহক সেবার স্বার্থে লাইনক্রুসহ সব হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন করতে হবে।
৬. জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা/শিফটিং ডিউটি বাস্তবায়নের জন্য অতিদ্রুত জনবলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।
৭. পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত করতে হবে।
জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং অনিয়মিতদের নিয়মিত করণের দাবিতে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামে।