নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুজন কুরীকে হাত-পা কাটিয়া লাশ গুম করার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ডেকোরেশন মিস্ত্রি মনির হোসেন ও তার পক্ষে ভাড়াটে লোকজনের বিপক্ষে। ঘটনাটি গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা বারোটার দিকে শহরের মা স্বর্ণালয়ের সামনে ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ভাদুর এলাকার নন্দলাল কুরির পুত্র সুজন কুরি (৩২) বাদী হইয়া ঢাকার মিরপুরের ডেকোরেশন ব্যবসায়ী ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার কৈলাগ গ্রামের আব্দুল খালেক পুত্র মনির হোসেনকে ১নং, লতা জুয়েলার্সের কর্মচারী কাকন কর্মকার (৩০) কে ২নং ও গীতা জুয়েলার্সের চয়ন কর্মকার (৪০) কে ৩নং বিবাদী করিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সুজন কুরি রামগঞ্জ শহরের পাট বাজারস্হ দিশা স্বর্ণালয়ের মালিক। ডেকোরেশন মিস্ত্রি মনির হোসেনকে সুজন কুরি নিজের দোকান ডেকোরেশন করার জন্য ৭/৮ মাস পূর্ব থেকে বলে রেখেছেন । কিন্তু ডেকোরেশন মিস্ত্রি মনিরকে একাধিকবার বলার পরেও সুজন কুরির দোকান ডেকোরেশন করে না দেওয়ায় গত ২২ এপ্রিল দুপুরে মনির মিস্ত্রির কাছে দোকান ডেকোরেশন করে না দেওয়ার কারণ জানতে চান। এতে করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মনির মিস্ত্রি তাঁর সহযোগী কাকন ও চয়নসহ পাশের দোকান মা শিল্পালয়ের সামনে সুজন কুরিকে তেড়ে এসে এলোপাতাড়ি মারধর করার জন্য হামলা করে। এসময় উপস্থিত লোকজন এসে মনির মিস্ত্রি ও তাঁর সঙ্গীদের হাত থেকে সুজন কুরিকে রক্ষা করে। এসময় ডেকোরেশন মিস্ত্রি মনির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে সুজন কুরির হাত- পা কাটিয়া লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
দিশা জুয়েলার্সের মালিক সুজন কুরি এ প্রতিবেদককে বলেন, অনেকবার কথা দিয়েও ডেকোরেশন মিস্ত্রি মনির হোসেন আমার দোকান ডেকোরেশন করে না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে সে আমাকে মারধর করার জন্য তেড়ে এসে এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে। স্হানীয় লোকজন বাঁধা দিলে ডেকোরেশন মিস্ত্রি মনির আমার হাত পা কাটিয়া লাশ গুম করার হুমকি দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে ডেকোরেশন মিস্ত্রি মনির হোসেন এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, প্রায় ৬ মাস পূর্বে রামগঞ্জের দিশা জুয়েলার্সের মালিক সুজন কুরি আমাকে তাঁর দোকান ডেকোরেশন করে দেয়ার জন্য বললে আমি সময় পেলে করে দিবো বলছিলাম। গত ২২ এপ্রিল সুজন কুরি কেন আমি তার দোকান ডেকোরেশন করে দিচ্ছি না বলে আমার শার্টের কলার ধরে মারতে আসলে আমিও তাকে ধাক্কা দেই। পরে সুজন কুরি আমাকে নানান ধরনের হুমকি ধমকি দেয়, আমি তাকে কোনো ধরনের হুমকি দেই নাই।
রামগঞ্জ স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুমন কুরি দৈনিক বাংলার মুকুলকে মুঠোফোনে বলেন, ডেকোরেশন মিস্ত্রি মনির হোসেনকে দোকান ডেকোরেশন করার জন্য সুজন কুরি একাধিকবার বলার পরেও না দেওয়ায় কারণ জানতে চান। এ সময় প্বার্শবর্তী লতা জুয়েলার্সের কর্মচারী কাকন ও গীতা জুয়েলার্সের কর্মচারী চয়ন ডেকোরেশন মিস্ত্রি মনিরকে সুজন কুরির উপর হামলার করার জন্য নির্দেশ দেয়। নির্দেশ পেয়ে ঢাকার ডেকোরেশন মিস্ত্রি মনির হোসেন দিশা জুয়েলার্সের মালিক সুজন কুরির শার্টের কলার ধরে মারধর করার চেষ্টা করলে স্হানীয় লোকজন দু'পক্ষকে থামিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আবুল বাসার মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, পাট বাজারস্হ দিশা জুয়েলার্সের মালিক সুজন কুরিকে মারধরের চেষ্টা ও হুমকি দেয়ার একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে।