• রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
Headline
শহীদ জিয়ার পথই আমাদের একমাত্র দিকনির্দেশনা —অ্যাডভোকেট মনির রায়পুরে সড়কে গাছ, যান চলাচলে ভোগান্তি রায়পুরে জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত জনজীবন লক্ষ্মীপুরে ৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ লক্ষ্মীপুরে এক বছরে পানিতে ডুবে ১১১ শিশুর মৃত্যু লক্ষ্মীপুরের সোনালী সুপারি: জাতীয় অর্থনীতির এক অনন্য অধ্যায় লক্ষ্মীপুরে তিন পরিবারের সম্পত্তি জবরদখল লক্ষ্মীপুর আমজনগণ পার্টির আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন  কমলনগরে ল্যাব এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান- লক্ষাধিক টাকা অর্থদন্ড দুয়ারে ভূমি সেবা প্রদানের উদ্যোগ, লক্ষ্মীপুরে তিন দিন ব্যাপী ভূমি মেলা সম্পন্ন

রায়পুরে ডাকাতিয়া নদীতে অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদে প্রশাসনের অভিযান

Reporter Name / ১০৩ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

প্রদীপ কুমার রায়:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ডাকাতিয়া নদীর ওপর নির্মিত অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে নদী ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার ও জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিগার সুলতানা। পুরো কার্যক্রম পরিচালিত হয় রায়পুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: ইমরান খান এবং লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে।

উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, লক্ষ্মীপুর এর প্রতিনিধি, সেনাবাহিনী, রায়পুর থানা পুলিশ এবং উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা। প্রায় ১৫-২০ জন শ্রমিক শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে বাঁধ অপসারণে সহায়তা করেন। রায়পুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর আড়াআড়িভাবে নির্মিত অবৈধ বাঁধগুলো মূলত মাছ চাষের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল। এসব বাঁধ নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করায় জলাবদ্ধতা ও পরিবেশগত সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে।

এ প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিগার সুলতানা বলেন, নদীর স্বাভাবিক গতিপথ রক্ষা করা এবং জলাবদ্ধতা নিরসনই আমাদের মূল লক্ষ্য। কোনোভাবেই অবৈধ দখলদারিত্ব বরদাশত করা হবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরান খান বলেন, নদী রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন বরাবরের মতোই কঠোর অবস্থানে আছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

স্থানীয়দের অধিকাংশ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। এক জন নদীতীরবর্তী বাসিন্দা বলেন, নদীটা অনেকদিন ধরে ভরাট হয়ে যাচ্ছিল, পানি জমে নানা সমস্যা হচ্ছিল। প্রশাসনের এই পদক্ষেপে আমরা স্বস্তি পাচ্ছি।

উল্লেখ্য, নদী ও খাল দখলমুক্ত রাখার পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ সংরক্ষণে প্রশাসনের এমন উদ্যোগ এলাকাবাসীর মাঝে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। রায়পুর উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd