নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরে ভাড়াটিয়ার কাছে দাবী কৃত চাঁদা না পেয়ে ভাড়া বাড়িতে আগুন দিয়েছে সন্ত্রাসীরা । এতে ভাড়াটিয়ার ১০ লক্ষ টাকা এবং বাড়ির মালিকের পাঁচ লক্ষ টাকা সহ মোট ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে । এ ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামী শিহাব এখনো পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে । ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষীপুর পৌরসভায় ১২ নং ওয়ার্ডের আবীরনগর গ্রামের আয়েশা মঞ্জিলে ।
ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ীর মালিক এ এইচ তারেক মাহমুদ জানান , তাঁর পার্শ্ববর্তী স্থানীয় মজিদ মাস্টার বাড়ির মঞ্জুর ছেলে প্লাবন দেওয়ান ও তার সহযোগী বাঞ্ছনগর গ্রামের, জেবি রোডের, বেপারী বাড়ির জসিমের ছেলে শিহাব, তার ভাড়াটিয়া কবিরাজ মো: ইউসুফ আলীর কাছে গত ৫ মার্চ এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে । কবিরাজ ইউসুফ মুখের উপরে নিষেধ করে দেওয়ায় , অভিযুক্ত দুইজনসহ আরো অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ৬ মার্চ রাত আটটায় ভাড়াটিয়া ইউসুফ এশার নামাজ ও তারাবি নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে এ সুযোগে ভাড়াটিয়ার ভাড়া ঘরে পূর্ব পরিকল্পনা মতে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় । এতে ভাড়াটিয়ার ফ্রিজ , টিভি, ফ্যান, স্টিলের আলমারি , খাট , ওয়ারড্রব, ডাইনিং টেবিল চেয়ার সহ মূল্যবান আসবাবপত্র, বিভিন্ন দলিল দস্তাবেজ পুড়ে ছাঁই হয়ে যায় । একই সময়ে আগুনে ফ্ল্যাটের ওয়াল, বাড়ির চাদ পুড়ে ফেটে গিয়ে মেয়াদহীন হয়ে যায়। দরজা জানালা, ইলেকট্রিক জিনিসপত্র, পানির পাইপ লাইন সহ বাসা যাবতীয় মূল্যমান সরঞ্জামাদিপুড়ে আরো ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় । বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ার মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করলে , লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে । ততক্ষণে উল্লেখিত মাল পুড়ে ১৫ লক্ষাধীক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায় ।
তবে লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার সাহা জানান, আগুনে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে এবং ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল আগুনের পোড়ার কবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ।
এই ঘটনার তদন্ত শেষে লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশ ১৫ দিন পর একুশে মার্চ মামলা নং ৬০ রুজু করলেও এজাহার নামীয় আসামি মোঃ শিহাব পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় । মামলার প্রধান আসামি প্লাবন দেওয়ান গ্রেপ্তার হলেও এক সপ্তাহ পর অজ্ঞাত কারণে জামিনে বেরিয়ে আসে ।
স্থানীয়রা জানায়, প্লাবন দেওয়ান পেশায় একজন বাস হেলপার হলেও বেশীরভাগ সময় সে মাদকাসক্ত থাকে । মাদক সেবনের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে এলাকায় চুরি ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করেই চলছে তার জীবন । তার এই কাজের জন্য বিভিন্ন এলাকার উঠতি বয়সী কিশোরদের সে ব্যবহার করছে । এসব কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ে স্থানীয়রা সবসময় ভীত সন্ত্রস্থ থাকেন । প্লাবন দেওয়ান ও তার কিশোর গ্যাংয়ের চুরি ডাকাতির ভয়ে আববিরনগর ও আশপাশ এলাকার মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে ।