বিশেষ প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর শহরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ওভারব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারীরা। এতে প্রায়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। প্রায় সময় পথচারী,শিশু ও নারীরা আহত হচ্ছেন।
চালকরা দাবি করছেন দলবেঁধে মানুষ রাস্তা পার হয়। এতে অনেক সময় সৃষ্টি হয় যানজটের।আবার কিছু পথচারী গাড়ি লক্ষ না করে রাস্তা পাড় হয়,এতে আমরা চালকরাও খুব বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর শহরে ব্যস্ততম এলাকা উত্তর তেমুহনি, দক্ষিণ তেমুহনি এবং ঝুমুর মোড়সহ তিনটি পয়েন্টে ওভারব্রিজ না থাকায় অসংখ্য মানুষ ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। এ সময় কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় তারা বলেন, ওভারব্রিজ থাকলে আমরা এমন করে রাস্তা পার হতাম না।
বর্তমানে লক্ষ্মীপুর শহরে প্রতিদিন বাস, ট্রাক, সিএনজি, অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারসহ প্রায় ১৫০০-২০০০ যানবাহন প্রবেশ করছে, হাজার হাজার সিএনজি ও ব্যাটারীচালিত অটোরিকশাতো আছেই, কিন্ত পথচারীদের নিরাপদ চলাচলের জন্য নেই কার্যকর ব্যবস্থা।
স্থানীয়রা জানান, উত্তর তেমুহনি, দক্ষিণ তেমুহনি এবং ঝুমুর মোড়ে পথচারীদের চাইতেও সকাল-বিকেল স্কুল-কলেজ ও অফিসগামী মানুষ বেশি চলাচল করে। অনেক সময় বাচ্চা, বৃদ্ধ বা নারী পথচারীরা গাড়ির গতি বুঝে উঠতে না পারায় ঘটে যায় দুর্ঘটনা। তাছাড়া শহরটিতে বেড়েছে অটোরিকশা ও ইজিবাইকের দাপট। যা আরো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে জনসাধারণের হাঁটাচলায়।
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ছাত্রী মাহিনুর আক্তার বলেন, প্রতিদিন কলেজে আসার পথে একাধিকবার জীবন নিয়ে টানাটানি হয়। একটু অসাবধান হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কেউ এ নিয়ে ভাবছে বলে মনে হয় না।
জহিরুল ইসলাম নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ওভার ব্রিজ না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই রাস্তা পারাপার হই। গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে ওভারব্রিজ হলে লক্ষ্মীপুরবাসী খুব উপকৃত হবে। তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হবে না। তাই অতি শিগগিরই সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে ওভারব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি আমরা। এখানে ওভারব্রিজ হলে আমরা নিরাপদে রাস্তা পার হতে পারতাম।
ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য বলেন, আমরা সকাল ও বিকেলে সিগন্যাল দিয়ে সহায়তা করার চেষ্টা করি, কিন্তু এত মানুষের ভিড়ে সেটা পর্যাপ্ত নয়। স্থায়ী সমাধান হিসেবে ওভারব্রিজ ছাড়া বিকল্প নেই।
‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’ লক্ষ্মীপুর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম উদ্দিন নিজামী বলেন, আমরা বহুবার জেলা প্রশাসন ও পৌরসভাকে ওভারব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু প্রতিশ্রুতি ছাড়া কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাভী বলেন, ওভারব্রিজের প্রয়োজনীয়তা আমরা বুঝি। কিন্তু ফোর লেন না হলে এটি সম্ভব নয়।