ঘটনাটি ঘটেছে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের তনু মিয়া হাজী বাড়ির আবু তাহেরের ঘরে ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত ২.৩০ মিনিটের সময়।
পারিবারিকভাবে ঘটক সাহাবুদ্দিনের মাধ্যমে উভয় পক্ষ মেয়ে দেখে। মেয়ের বয়স কম হওয়ায় কোর্টের মাধ্যমে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। পরে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুরে ছেলে পক্ষ সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের তনু মিয়া হাজী বাড়ির আবু তাহেরের পুত্র সজিব ও মেয়ে পক্ষ ২নং উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গঙ্গাপুর গ্রামের আইয়ুব আলী ব্যাপারী বাড়ির নুর নবীর মেয়ে রিয়া আক্তার এর বিয়ে পড়ানো হয়।
এরপর উভয় পক্ষের সিদ্ধান্তে ছেলে পক্ষ নববিবাহিতা রিয়াকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপরই ঘটে বিপত্তি বাসর ঘরে নববিবাহিতা বৌ জন্মদেন একটি ছেলে সন্তানের। এতে হতাশ হয়ে পড়ে সজিব ও তার পরিবার।
ছেলের পিতা আবু তাহের জানান, ঘটক শাহাবুদ্দিনের মাধ্যমে মেয়ে দেখে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করিয়ে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি। রাতে আমাদের নতুন বৌ একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এতে আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। মেয়ের পিতাকে খবর দিয়েছি আসলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
মেয়ের পিতা নূর নবী জানান, মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর ছেলেপক্ষ তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। আজ সকালে ফোন করে জানান আমার মেয়ে নাকি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমি আর কিছুই জানি না।
ঐদিন বিকেলে ছেলের পক্ষ মেয়েকে মেয়ের বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে।
মেয়েপক্ষের ইউপি মেম্বার আবুল কালাম ভুঁইয়া জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনাটি শুনেছি। মেয়ে এখন মেয়ের বাপের বাড়িতে আছে।
এদিকে গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে অকপটে মেয়ের মা শিকার করেন, বাচ্চটি তার স্বামীর বাচ্চা, পরবর্তিতে নববিবাহিত প্রসবকারী "মা" রিয়ার নিকট জানতে চাইলে সেও বলে আমার এই গর্ভের সদ্য প্রসব করা সন্তান আমার বাবার।
বিষয়টি নিয়ে এলাকা সহ জেলা ব্যাপি তীব্র প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এদিকে নুরনবীর পরিবারবর্গ ঘরে তালা মেরে লাপাত্তা, এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ এবং প্রবল উত্তেজনা বিরাজ করছে।