লক্ষ্মীপুরে শিক্ষক- শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ

Spread the love

লক্ষ্মীপুর থেকে ভিবি রায় চৌধুরী – লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মুন্সীরহাটস্হ শাহাদাত মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিবাহিত আরিফুল ইসলামের সাথে একই বিদ্যালয়ের বিবাহিতা শিক্ষিকার অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তারের প্রবাসী স্বামী মাসুদ পাটোয়ারী ৩ জুন ২০২৪ ইং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে সুবিচার পাওয়ার জন্য লিখিতভাবে অভিযোগ জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, গত ৩ জুন ২০২৪ ইং তারিখে শাহাদাত মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকার স্বামী একটা অভিযোগ দায়েরের দুই দিন পর ৫ জুন এ শিক্ষিকা পারিবারিক বিরোধকে বিদ্যালয়ে টেনে আনার কথা উল্লেখ করেন। তাই শিক্ষিকার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ে কোনো সালিশ দরবার না করার কথা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান।

অভিযোগ সুত্রে ও সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, দালালবাজার ইউনিয়নের মুন্সীরহাটস্হ শাহাদাত মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষীকা শারমিন আক্তারের সাথে ২০২১ সনে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্যে একই এলাকার সিরাজ উল্যাহ পাটোয়ারীর প্রবাসী পুত্র মাসুদ পাটোয়ারীর বিবাহ হয়। বিবাহের পরে কর্মস্হল ইটালিতে মাসুদ ফিরে গেলে স্ত্রী শারমিন আক্তার সহকর্মী আরিফুল ইসলামের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। এবিষয়ে পারিবারিক ও স্হানীয়ভাবে একাধিক সালিসি হলেও মাসুদ তাঁর স্ত্রীকে শিক্ষক আরিফুলের সাথে পরকীয়া থেকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে ইউএনও ও শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকার স্বামী মাসুদ পাটোয়ারী বলেন, আমি প্রবাসে থাকার সুবাধে আমার স্ত্রী সহকারী শিক্ষক আরিফুলের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। এটা জানার পর প্রবাস থেকে তাকে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও সে সঠিক পথে আসে নাই এবং ঐ শিক্ষকের সাথে কোন যোগাযোগ না থাকার কথা বলে। যদিও তাঁর স্ত্রীর মোবাইল কল রেকর্ড বাহির করলে দেখা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষিকার বিভিন্ন সময়ে প্রচুর কথোপকথন হয়। এলাকাবাসী ও কয়েকজন অভিভাবক জানান, শিক্ষক আরিফুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং করার সুস্পষ্ট প্রমান থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে কোনো ব্যবস্হা নেয়া না হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। অভিযুক্ত শিক্ষক- শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগের বিষয়ে সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন।
সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তারের নিকট মুঠোফোনে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার ফোন নাম্বারে কেন ফোন দিয়েছেন? আপনাকে আমি কোনো ধরনের বক্তব্য দিতে রাজি নই। কারণ হচ্ছে, আপনারা নিউজ প্রেজেন্টার, কোনো রকম কোন কিছু যাচাই-বাছাই না করে ফুল তথ্য আপনারা প্রকাশ করে দিয়েছেন। আপনি আর এর মধ্যে ঢুকে বিপদে পড়িয়েন না? কি ধরনের বিপদে পড়বো জানতে চাইলে ফোন রাখতে পারেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইছমাইল পাটওয়ারী জানান, বিষয়টি নিয়ে কেহ কোনো লিখিত অভিযোগ না দেয়ায় আমাদের সহকারী শিক্ষক- শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্হা নেয়ার আইনগত অধিকার আমাদের নাই। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়ে কোনো সালিসি না করার জন্য আমাদেরকে ফোন করে জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *