লক্ষ্মীপুর থেকে ভি বি রায় চৌধুরী - লক্ষ্মীপুর কালেক্টর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নির্মল ইন্দু সরকারের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক- কর্মচারীরা।
২১ আগস্ট বুধবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের কক্ষে শিক্ষক কর্মচারীরা মিলে অধ্যক্ষ নির্মল ইন্দু সরকারকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ করতে থাকে। খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে গেলে শিক্ষক- কর্মচারীরা অধ্যক্ষকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষক- কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারসহ বিল- ভাউচারে নানা দুর্নীতি- অনিয়মের কথা তুলে ধরেন। এসময় প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত প্রায় ২/৩ শত শিক্ষার্থীকে ক্লাসের বাহিরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেনীর কয়েকজন শিক্ষার্থীও সাংবাদিকদের কাছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ তুলে ধরে।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের নিকট শিক্ষক- কর্মচারীদের পক্ষে গত ১৩ আগস্ট একটি লিখিত অনাস্থাপত্র দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৪৫ জনের মধ্যে এই অনাস্থাপত্রে ৪১ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা লিখিত এ অনাস্থাপত্রে স্বাক্ষর করে জানান, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে তারা সততা ও নিষ্ঠার সাথে বিদ্যালয়ের মানোন্নয়ন ও শিক্ষাবিস্তারে জেলায় সুনাম অর্জনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন পর নিয়মিত হিসেবে নির্মল ইন্দু সরকারকে গত সাত মাস পূর্বে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার পর থেকে প্রায় প্রতিটি আর্থিক লেনদেনে কেলেঙ্কারিসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলেন। এছাড়া সহকর্মীদের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ নিজে অভিযোগপত্র লিখে অভিভাবকের নামে চালিয়ে দেয়াসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করেন। অনাস্থাপত্রে তাঁরা আরও উল্লেখ করেন যে, জ্যেষ্ঠতার শৃঙ্খলা লঙ্ঘন, চাকরি বিধি অমান্য, সহকর্মীদের চাকরিচ্যুত করার প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান ও মিথ্যাচার, প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় স্বেচ্ছাচারিতা, প্রতিষ্ঠানের সম্পদ আত্মসাতের মতো অসংখ্য অন্যায় আচরণ করা ও অন্যায্য সিদ্ধান্ত তিনি নিতে থাকেন। পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক- কর্মচারীবৃন্দ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসকের নিকট অনাস্থাপত্র দিতে বাধ্য হয়েছেন।
এসব বিষয়ে লক্ষ্মীপুর কালেক্টর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নির্মল ইন্দু সরকার সকল অভিযোগ অস্বীকার করে এ প্রতিবেদকককে বলেন, আমার নিয়োগকারী কর্তৃ্পক্ষ আমাকে পদত্যাগ করতে বলার সাথে সাথেই আমি পদত্যাগ করবো।
বিষয়টি নিয়ে কালেক্টর স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান এ প্রতিবেদককে বলেন, অধ্যক্ষ আগামীকাল ২২ আগস্ট থেকে ছুটিতে যাচ্ছেন। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে উল্লেখিত সকল অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে।