প্রদীপ কুমার রায়:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের খাসিয়ার চরে একটি বিশাল আকৃতির কুমির ধরা পড়েছে। কুমিরটির ওজন প্রায় ৫ মনের কাছাকাছি বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা। বুধবার দিবাগত রাতে খাসিয়ার চরের মাঝি বাড়ির একটি হাঁসমুরগির খোড়ায়ে হানা দিলে বাড়ির লোকজন কুমিরটি ধরে ফেলে। সেটিকে দক্ষিণ চরবংশীর চান্দারখাল মাছঘাটে নিয়ে আসে তারা।
পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেটি উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিরটিকে বন বিভাগের লোকজন তাদের হেফাজতে নেয়।
স্থানীয়রা জানায়, খাসিয়ার চরের একটি বাড়ির হাঁস-মুরগির খামারের নীচ থেকে কুমিরটি ধরা হয়েছে। বুধবার সকালে স্থানীয় লোকজন কুমিরটিকে দেখতে পায়।
সেটি বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ছিল। রাতে হাঁসমুরগি খেতে উপরে উঠে আসে কুমিরটি। সেখান থেকে ধরা হয়৷
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখানে আরও চার-পাঁচটি কুমির রয়েছে। বন্যার পর থেকেই তাদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে।
খালে নামলেই আক্রমণ করছে কুমির। বাবলু ও আবু নামে দুজন কুমিরের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এক কৃষকের একটি গরুও নিয়ে গেছে বলে জানান তারা। বর্তমানে কুমির আতঙ্কে রয়েছে খালপাড়ের বাসিন্দারা।
ভয়ে খালে নামছে না অনেকে।
রায়পুর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্থানীয় লোকজন কুমিরটি উদ্ধার করে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে কুমিরটিকে উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রায়পুর বনবিভাগের রেঞ্জ সহকারী মতিউর রহমান সোহাগ বলেন, কুমিরটি আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। সেটিকে জেলা অফিসে পাঠানো হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।