স্টাফ রিপোর্টার :
লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার কাশিমনগর গ্রামে সম্পত্তি ক্রয় করে পরিকল্পিত হামলা ও সাজানো মামলায় হয়রানী শিকার ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম ও তার পরিবারের লোকজন। গ্রামবাসীর দাবী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে ব্যবসায়ীকে হয়রানী থেকে মুক্ত করবে।
বিভিন্ন সুত্রে জানায়, উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের পুত্র আনোয়ার হোসেন বাবুল পাশর্^বতি গ্রামের উত্তর কালিকাপুর গ্রামের এমদাদুল উল্যাহর ঢাকার ব্যবসায়ী পুত্র খোরশেদ আলমের কাছে এক কোটি টাকা মূল্য নির্ধারন করে সাড়ে ৩৮ শতাংশ সম্পত্তি বায়নাচুক্তি বদ্ধ হয়। বায়নাচুক্তির পরে আনোয়ার হোসেন বাবুল ওয়ারিশী অজুহাত দেখিয়ে গ্রাম্য সালিস বসিয়ে বিগত ১৪ মে-২০২৪ ইং ৬৫ লক্ষ ২০ হাজার মূল্যে পৌনে ১৮ শতাংশ সম্পত্তি ও নির্মানাধিণ ভবনসহ বিক্রি করে। টাকা নেওয়ার পরে সম্পত্তি রেজিস্ট্রি দিয়ে আনোয়ার হোসেন বাবুল নানা ভাবে সম্পত্তি ক্রয়কারী ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম ও তার স্বজনের কাছে আরো ৩০ লক্ষ টাকা দাবী করে উক্ত টাকা না দেওয়ায় আনোয়ার হোসেন বাবুল পরিকল্পিত ভাবে তার মা-বোনকে দিয়ে ২৬ এপ্রিল শনিবার সকালে অতর্কিত হামলা চালিয়ে খোরশেদ আলমের ভাই বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে বেধম প্রহার করে এবং বিল্লাল হোসেনের পুরুষাঙ্গ টিপে ধরে রাখে। গ্রামবাসী গুরুতর আহত বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী ফাতেমাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের চিকিৎসা কাজে ব্যস্থ থাকার সুযোগে আনোয়ার হোসেন বাবুল ২৯ এপ্রিল তার বোন মমতাজ বেগমকে বাদী করে লক্ষীপুর আদালতে পৃথক দুটি মামলা করে। গ্রামবাসী আঃ মজিদ,রফিক,আহসানসহ কয়েকজন বলেন,আনোয়ার হোসেন বাবুল সম্পত্তির দ্বিগুনেরও বেশি টাকা নিয়ে,মোহাম্মদিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও রামগঞ্জ থানা একাধিক অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি স্থানীয় কয়েকটি গ্রাম শালিস বসিয়ে হয়রানী করে খোরশেদ ও তার পরিবারের লোকজনদের। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান একটি বৈঠক করলেও তার নির্দেশ অমান্য করছে বাবুল গং। সম্পত্তি ক্রয়কারী খোরশেদ আলম বলেন, সম্পত্তি রেজি: করার পরেই ভবনের অবশিষ্ট কাজ করে আমার পরিবার বসতবাস করছে। ২৬ এপ্রিল আনোয়ার হোসেন বাবুলের নেতৃত্বে তার মা-বোন হামলা হামলা চালিয়ে আমার ভাই-ভাবীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে আমি এলাকাতে যাই।