প্রদীপ কুমার রায়:
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ বাজারে চালানো যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা জব্দ এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সোমবার (১২ মে) দুপুরে পরিচালিত এ অভিযানে আল মদিনা বস্ত্রালয় ও শ্রীশ্রী নিতাই গৌরী বস্ত্রালয়ের আড়ালে গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিক অর্থ পাচার চক্রের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আটককৃতরা হলেন—আল মদিনা বস্ত্রালয়ের মালিক খলিলুর রহমান ও শ্রীশ্রী নিতাই গৌরী বস্ত্রালয়ের মালিক খোকন দেবনাথ। অভিযানকালে দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ১২টি দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। যার বাংলাদেশি টাকায় পরিমাণ ৪৮ লাখ ৬১০ টাকা।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)–এর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী চন্দ্রগঞ্জ বাজারে অভিযান চালায়। সেনাবাহিনী, র্যাব ও এনএসআই–এর সমন্বয়ে পরিচালিত এ অভিযানে ধরা পড়ে বহুল আলোচিত মানি লন্ডারিং চক্রের মূল সূত্র।
লক্ষ্মীপুর সেনাবাহিনী ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন রাহাত বলেন, “বিদেশি মুদ্রা পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এনএসআই–এর নির্ভরযোগ্য সংবাদের ভিত্তিতে আজকের অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে এবং গ্রেফতার করা হয়েছে চক্রের দুই হোতাকে। তদন্ত চলছে, আইনি প্রক্রিয়াও এগিয়ে চলছে।”
এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী সমাজে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। চন্দ্রগঞ্জের বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাজারে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ‘অস্বাভাবিক লেনদেন’ লক্ষ্য করা যাচ্ছিল, যা নিয়ে বহুদিন ধরেই নানা আলোচনা ছিল।
অভিযান–পরবর্তী সময়ে বাজারজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এদিকে মানি লন্ডারিং চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
চন্দ্রগঞ্জের এই ঘটনা শুধু স্থানীয় নয়, বরং জাতীয় অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি স্বরূপ। তাই এমন অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।