রায়পুর উপজেলার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পুনরায় অধ্যক্ষ মামুনের চেয়ারম্যান হওয়া প্রয়োজন

Spread the love

লক্ষ্মীপুর থেকে ভি বি রায় চৌধুরী –
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদকে পুনরায় চেয়ারম্যান দেখতে চান রায়পুর উপজেলা বাসী।
অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বিপুল ভোটে বিজয় হতে তৃনমূল আওয়ামীলীকে ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনে প্রচার-প্রচারনাসহ জনগনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি রাতদিন। এছাড়াও আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ায় উপজেলার তৃনমূল কর্মীদের সুসংগঠিত করতে তার ভূমিকা অপরিসীম।
জানা যায়, ১ টি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়ন নিয়ে রায়পুর উপজেলা। ২০১৯ সালে রায়পুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর তিনি রায়পুরের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেন। তার পরেও বৃহৎ এই উপজেলার অনেক কাজ এখনো বাকী রয়েছে। পুনরায় নির্বাচিত হলে তিনি রায়পুরের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে স্মার্ট রায়পুর গড়তে কাজ করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তার বড় ভাই মোঃ হারুনুর রশিদ লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি থাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তাও রয়েছে তার।

স্থানীয় তৃনমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী জানান, অধ্যক্ষ মামুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর সেই সময়ই বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। করেনাকালীন সময় যখন অনেকেই ঘর থেকে বের হতে ভয় পেয়েছেন তখনো মামুনুর রশিদ করোনায আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাড়িয়েছেন। ওই সময় রায়পুরে হাজার হাজার মানুষের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী ও ওষুধ পৌঁছে দিয়েছেন। সমস্যায় থাকা অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে খাদ্য সামগ্রী ও ওষুধ পৌঁছে দিয়েছেন। সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে হাজারো মানবিক কাজ করায় রায়পুরবাসীর কাছে মানবিক উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তিনি চেয়ারম্যান থাকা কালিন রায়পুরে জমি দখল, চাঁদাবাজি ও সালিশ বাণিজ্যসহ এমনকোন অভিযোগ নেই তার বিরুদ্ধে। তিনি সব সময় আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্তে ঐক্য থাকায় আজ জনগণ তার পক্ষ ঐক্যবদ্ধ।
জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসার পর অনেকের চরিত্র পাল্টে গেলেও অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ ব্যতিক্রম। তিনি আওয়ামী লীগের টিকেট নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও তিনি হন সবার চেয়ারম্যান। সাদা মনের নিরঅহংকারী অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ রায়পুরবাসীর সেবায় নিয়োজিত থাকার পরেও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। দলীয় প্রতিটি কর্মাকান্ডে তার সরব উপস্থিতি সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর চোখের মনিতে পরিণত হয়েছেন। ক্লিন ইমেজের নেতা হওয়ায় অধ্যক্ষ মামুনকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় তৃনমূল আওয়ামী লীগের দলীয় ভাবে সমর্থন দিয়েছেন।
রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ২০১৯ সালে রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নৌকা প্রতীক দিয়ে রায়পুর উপজেলা বাসীর খেদমত করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। রায়পুরের প্রান্তিক পর্যায়ের সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন উন্নয়ন ছড়িয়ে দিয়েছি। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমাকে রায়পুরবাসী পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে বিজয় করে তাহলে আমার জীবন বাজি রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং শেখ হাসিনার দারিদ্র্য মুক্ত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে রায়পুর উপজেলাকে একটি স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। রায়পুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়রাম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদার প্রার্থী রয়েছেন। ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ভোট গ্রহণ ২১ মে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *