অবশেষে লক্ষ্মীপুরে বাল্য বিবাহ রোধে অগ্রনী ভূমিকা রাখলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জোবায়েদা খানম

Spread the love

 

ভিবি নিউজ ডেস্ক : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের খন্দকার পুর গ্রামের খায়ের মাস্টার বাড়িতে ৭ জুলাই এক বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজনের খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জোবায়েদা খানমের নেতৃত্বে উপজেলার চৌকষ অফিসার মোরশেদ আলম তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন বলে জানাগেছে।
জানাযায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়ন খন্দকার পুর গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের খায়ের মাস্টার বাড়ির নুর আলম ও আমেনা বেগমের মেয়ে রাখালীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তারের(১৫) সাথে রায়পুর উপজেলার ৪নং সোনাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড, চরবগা গ্রামের আবু তাহের ও সাহিদা আক্তারের ছেলে আবুল খায়ের (৩১) এর বিবাহ লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের কোন এক আইনজীবীর মাধ্যমে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। যাহা সম্পূর্ণ রুপে আইনের পরিপন্থী হয় বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যম কে জানান। বিষয়টি জানাজানি হলে তাৎক্ষণিকভাবে লক্ষ্মীপুর জেলা মহিলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার নির্দেশনায় উপজেলা কর্মকর্তা ও দালাল বাজার পুলিশ কেম্পের ইনচার্জ সহকারী পুলিশ পরিদর্শক  মোঃ ইমদাদুল হক সহ পুলিশের আরো সদস্যদের  নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পাত্রপক্ষ পাত্র সহ পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পাত্রির মা আমেনা বেগম বাল্য বিবাহের যে বেআইনি উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন, উহার সাথে সংপৃক্ত হইবার জন্য মেয়ের মা আমেনা বেগম লজ্জিত, দুঃখিত এবং অনুতপ্ত হয়েছেন মর্মে অঙ্গিকার করেন যে ভবিষ্যতে তিনি বাল্য বিবাহের সহিত সম্পৃক্ত হইবেনা।এবং তাহার নিকটবর্তী এলাকায় বাল্য বিবাহ বন্ধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহন করবেন। মেয়ের মা আরো বলেন যদি তিনি এই অঙ্গিকার ভঙ্গ করেন তাহলে তাহার বিরুদ্ধে আইনানুগ যে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে তাহা প্রতিপালন করতে বাধ্য থাকিবে। বিষয়টি মুচলেকা গ্রহন কারি ক্ষমতা প্রাপ্ত উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মোরশেদ আলম গণমাধ্যম কে জানান। এখন বিবেচ্য বিষয় হলো যেখানে সরকার ঘোষণা দিয়েছেন ১৮ বছরের পূর্বে বিয়ে মানে বাল্য বিবাহ রোধে সকল কে সোচ্চার হওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সকল সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কে সজাগ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, অথচ জেলার বিজ্ঞ আইনজীবী নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে কিভাবে অবৈধ ভাবে কাজীকে সংগে নিয়ে   এই বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করেন তাহা বোধগম্য নয় বলে সচেতন মহল মনে করছেন এবং বিষয়টি জেলাপ্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সূধী মহল।