• বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
Headline
রামগঞ্জে বৃদ্ধাকে জবাই করে হত্যা স্বর্ণালংকার লুট সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর গাজীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ঈদ পূর্ণ মিলন ও পরিচিতি সভা লক্ষ্মীপুরে কুরআনের হাফেজ শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু: এলাকাবাসীর মাদ্রাসা ঘেরাও লক্ষ্মীপুরে ছাত্র হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের দুই সাবেক জনপ্রতিনিধি গ্রেপ্তার অভিভাবকতূল্য মানুষ—জহির উদ্দিন ভূঁইয়া স্মরণে রায়পুরে নূরানী মাদ্রাসায় ছাত্র বলাৎকার, শিক্ষক রাকিব পলাতক লক্ষ্মীপুরে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রাসহ লন্ডারিং চক্রের হোতা গ্রেফতার কমলনগরে প্রাথমিক শিক্ষকদের সপ্তম দিনেও টানা কর্মবিরতি পালন-সঙ্কট নিরসনে নেই কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ! লক্ষ্মীপুরে তৃণমূলে জ্ঞানচর্চার নতুন দুয়ার ৩৬ ইউনিয়নের গণপাঠাগার রামগঞ্জে পুলিশের হাতে ছাত্র ও যুবলীগের দুই নেতাসহ আটক ৩

অভিভাবকতূল্য মানুষ—জহির উদ্দিন ভূঁইয়া স্মরণে

Reporter Name / ১৮ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

প্রদীপ কুমার রায়:
“পদু কি খাবি বল…”—ডাকবাংলার নিরালায় রাতভর আড্ডার শুরুটা এমন এক হাক দিয়েই করতেন জহির উদ্দিন ভূঁইয়া। সাংবাদিকতা শুধু তাঁর পেশা ছিল না, ছিল এক পরিপূর্ণ মানবিক চর্চা। রায়পুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সততা আর সহমর্মিতার প্রতীক এই মানুষটি আজও অসংখ্য সহকর্মীর হৃদয়ে অনির্বাণ স্মৃতি হয়ে জ্বলছেন।

২০১৯ সালের ১৩ মে এই দিনে চলে যান তিনি—একটি অনভূত শূন্যতা রেখে। কিন্তু তাঁর প্রতিটি আচরণ, প্রতিটি উচ্চারণ আজও রায়পুরের বাতাসে ছড়িয়ে আছে, যেন মানুষটির প্রাণ এখনও ঘোরাফেরা করছে সেই পরিচিত গলিগুলোতে।

জহির ভূঁইয়া ছিলেন এক আশ্চর্য সমন্বয়: দৃঢ় মনোবল, কোমল হৃদয় আর নিরহংকারী বন্ধুত্বের প্রতীক। জুনিয়র বা সিনিয়র—এই বিভাজন তাঁর অভিধানে ছিল না। ছোটদের নাম ধরে ডাকতেন, পকেট থেকে টাকা বের করে বলতেন, “আগে খানা আন, পরে কথা”—এই হৃদয়খোলা আতিথেয়তায় মুখে হাসি ফুটত সবার। প্রেসক্লাব ছিল তাঁর পরিবারের মতো, আর সহকর্মীরা ছিলেন আপনজন।

এক সহকর্মীর পারিবারিক সমস্যায় যখন থানার ওসিকে ফোন করে বলেছিলেন, “তুমি থাকবা নাকি চইল্লা যাইতে চাও?”—তখন অনেকেই চমকে উঠেছিল তাঁর সরল কিন্তু দৃপ্ত কণ্ঠে। কিন্তু পরক্ষণেই বুঝে নিয়েছিল—এই তো জহির ভাই, যিনি সত্য ও সহমর্মিতার পক্ষে নির্ভয়ে দাঁড়ান, যিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পিছপা হন না।

তাঁর হাস্যরস, ‘বিড়িটিড়ি’ খাওয়ার মজা করে তিরস্কার, কিংবা আড্ডার চূড়ান্ত মুহূর্তে “ধরা ধরা, আমার সামনেই ধরা” বলে চিৎকার—all were not just expressions, they were echoes of his warm, generous soul.

একটি সমাজের নেতৃত্ব তখনই পূর্ণতা পায়, যখন তার কিছু মানুষ হয়ে ওঠেন পথপ্রদর্শক, অভিভাবক। জহির উদ্দিন ভূঁইয়া ছিলেন তেমনই একজন—যাঁর স্মৃতি প্রতিনিয়তই আমাদের মনে করিয়ে দেয়, মানুষ যদি হতে হয়, আগে মানুষ হতে হয়।
আজ তাঁর চিরবিদায়ের দিনে, রায়পুর প্রেসক্লাব, সহকর্মী, পরিবার—সবাই মিলে আবারও উচ্চারণ করছে সেই হৃদয়ছোঁয়া ডাক—
“পদু কি খাবি বল…”

তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। স্মৃতিতে তিনি চিরঞ্জীব।

Facebook Comments Box


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd