স্টাফ রিপোর্টার :
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কালু হাজি সড়কে মজুপুর মৌজার সাবেক ৪৭৫ দাগ যাহা বতর্মান ৮৫২৯ দাগের পৈত্রিক খরিদা ওয়ারিশী ও রের্কডীয় মালিকগনের জমি জোরপূর্বক জবরদখল করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল সৃজন করে নুরুল ইসলাম, আবুল কালাম, আদু, হানিফ, অরিফ ও রনি তাদের মালিকীয় জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে। সন্ত্রাসী কায়দায় সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে আরিয়ান রায়হান ও তার লোকবল দিয়ে জমি দখল ও স্থাপনা নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারদের । শনিবার ( ২৬ এপ্রিল ) সকালে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের হলরুমে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এসব অভিযোগ করেন কাজী বাড়ী ও মিঝি বাড়ী পরিবারের ভুক্তভোগী সদস্যরা। এসময় জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সামনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন মো. আজিম। লিখিত অভিযোগ বলা হয়, বিরোধকৃত জমি জাল জালিয়াতি রেকর্ড সৃষ্টি করে দখলের চেষ্টা চালায় নুরুল ইসলাম সহ তাদের লোকজন। বিষয়টি সেনা ক্যাম্পের অভিযোগ করলে দুই পক্ষের নিয়োগকৃত আইনজীবী দিয়ে তা নিস্পত্তির স্বার্থে শালিশী বৈঠক হয়। যদিও সমন্বয়ক আরিয়ান রায়হান , রানা ও আমজদা শালিশ ভঙ্গ করে এর তার নেতৃত্বে গত ১৯ মার্চ রাতের অন্ধকারে মিঝি বাড়ীর দরজার পুকুর থেকে ছয় শতক জমি দখল করে। এসময় বাধা দিলে ওই বাড়ীর লোকজনদের বেধড়ম মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। যদিও ওইসময় আইনের আশ্রয় না নিয়ে পাশ্ববর্তী পুকুরের বাকী অংশে বালি দিয়ে ভরাট করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। অভিযোগে আরও বলা হয়, বাকী জমি উন্নয়নের জন্য তাদের মালিকীয় দখলীয় পুকুর ভরাট করতে গেলে গত ১৭ এপ্রিল পুনরায় বাঁধা দেয় অভিযুক্ত সমন্বয়ক আরিয়ান রায়হান। এসময় সে ও তার লোকজন বালুর গাড়ী ফেরত পাঠায় একই সময় নুরুল ইসলাম, আদু, রনি, আরিফ ও হানিফ পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে বাকী অংশের জমিও জোরপূর্বক দখল করে নিয়ে যাবে হুমকি দেয়। এঘটনায় প্রথমে থানায় মামলা দায়েরের চেষ্টা করেন। তখন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মামলা করার সম্ভব হয়নি বলে জানান তারা। পরবর্তীতে লক্ষ্মীপুর সদর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামাল বাদী হয়ে মামলা করেন।
দুই পক্ষের জমি সংক্রান্ত বিষয় সমন্বয়ক আরিয়ান রায়হানকে কেন জড়ানো হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভোগীরা বলেন, রায়হান টাকার বিনিময়ে সন্ত্রাসীদের সাথে তাল মিলিয়ে তাদের বৈধ মালিকীয় ও রেকর্ডীয় জমি দখল করে দেয় একইসঙ্গে অন্য জমি ভরাটেও বাঁধা দেয়। তারা বলেন রায়হান কখনো সমন্বয়ক, কখনো নেতা, কখনো প্রশাসনের শক্তি অপব্যাবহার করে নিরীহ মানুষের জমি দখল করে। তার বিরুদ্ধে এমন অসংখ্য অভিযোগ আছে বলে জানান ভুক্তভোগী এসব পরিবারের সদস্যরা। অভিযুক্ত নুরুল নুরুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক অস্থায়ী ষ্টাফ। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতি ও চাঁদাবাজি সহ বেশ কিছু বিষয়ে একাধিক গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। সত্য উদঘাটন করে তদন্ত সাপেক্ষে বৈধ জমি ফিরে পাওয়ার আকুতি তাদের। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আকিফ, জামাল, মনির রিটন, আবুল কাশেম, রফিকুল মনির, রিপন, তসলিম, ইব্রাহিম, শিপন ও বাবুল সহ অন্যনরা।